বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের রক্তের সম্পর্ক: দোরাইস্বামী
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের রক্তের সম্পর্ক রয়েছে, যা কখনো ভোলার মতো নয় বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে জীবন দানকারীদের মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সৈন্যদের স্মরণার্থে যে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে তা সত্যিই সম্মানের। হাতে হাত রেখে ভারতীয় সৈন্য ও মুক্তিবাহিনী যুদ্ধ করেছিল। যার কারণে পাকহানাদার বাহিনীকে হারিয়ে এই বিজয় অর্জন করা সম্ভব হয়েছিল।
এ সময় সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোশাররফ হোসেন বলেন, ৭১ এর ১২ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যৌথভাবে পাক হানাদারদের ওপর আক্রমণ করে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী। যৌথবাহিনী যখন সীতাকুণ্ডে প্রবেশ করে, সেদিন প্রচণ্ড গোলাগুলি হচ্ছিল। গেরিলা বাহিনী, মিত্র বাহিনী যারা বাঙ্কারে ছিল সেদিন অনেকেই মারা গেছেন। আমাদের সামনেই অনেক লাশ পড়ে ছিল। বেশিরভাগ ছিল ভারতীয় সৈন্যদের লাশ।
মিত্রবাহিনীর সাহায্য ছাড়া যুদ্ধে জয় পাওয়াটা অসম্ভব ছিল বলে মন্তব্য করে মোশাররফ হোসেন বলেন, তিনদিনের যুদ্ধে অর্ধশত মিত্রবাহিনী সদস্য ও অসংখ্য মুক্তিবাহিনী সদস্যদের প্রাণের বিনিময়ে ১৭ ডিসেম্বর এলাকাটি হানাদারমুক্ত হয়। শহীদ মিত্রবাহিনীর সম্মানে ঐতিহাসিক স্থানটিতে এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মৃত্যুঞ্জয়ী মিত্র নির্মাণে ৩০ লাখ টাকার অর্থায়ন করেছে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের আবদুস সালামের দাবি, তাদের কাছে থাকা তথ্যে মিত্রবাহিনীর শহীদদের স্মরণে দেশে নির্মিত এটিই প্রথম ভাস্কর্য।
স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। চলতি বছরের মার্চে উদ্বোধন হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে তা করা যায়নি।
এ সময় চট্টগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, মহানগর কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের সহধর্মিনী সংগীতা দোরাইস্বামী, ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের সেকেন্ড অফিসার দীপ্তি আলংঘাট, চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, জেলা পরিষদ সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।